Responsive Ad Slot

সর্বশেষ

latest

আপেক্ষিক তত্ত্ব-০৫

Wednesday, 13 November 2019

/ by Admin
শক্তির একটি রূপ হচ্ছে গতিশক্তি । একটি গাড়িকে গতিশীল করতে যেমন শক্তির প্রয়ােজন হয়, তেমনি  যেকোনাে বস্তুর গতি বাড়াতেই শক্তির প্রয়ােজন। বস্তুকে গতিশীল করতে যে শক্তি খরচ করতে হয়, গতিশীল বস্তুর গতিশক্তির সাথে তার আদৌ কোনাে পার্থক্য নেই। এর ফলে বস্তু যত বেশি দ্রুত চলে, ততই এর গতিশক্তি বেড়ে যেতে থাকে। কিন্তু ভর ও শক্তির সমতুল্যতা অনুসারে গতিশক্তি বাড়ার কারণে বস্তুর ভরও বেড়ে যায়। এ কারণে একটি বস্তু যত বেশি দ্রুত চলে, তার গতি আরও বৃদ্ধি করা ততই কঠিন হয়ে পড়ে। 

আলাের গতির কাছাকাছি গতিতে চলা বস্তুর ক্ষেত্রে এই প্রভাব সত্যিই লক্ষণীয় হয়ে ওঠে । যেমন, আলাের ১০ শতাংশ গতিতে চলা। বস্তুর ভর স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ০.৫ শতাংশ বেশি হবে । কিন্তু আলাের ৯০ শতাংশ গতিতে চলা বস্তুর ক্ষেত্রে ভর স্বাভাবিকের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি হবে । আলাের গতির কাছাকাছি যেতে থাকলে ভর আরও বেশি বাড়তে থাকে। ফলে বেগ আরও বাড়াতে তুলনামূলক আরও বেশি। শক্তির প্রয়ােজন হয়। আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে একটি বস্তু কখনােই আলাের সমান গতি অর্জন করতে পারবে না। কারণ ততক্ষণে এর ভর হয়ে যাবে অসীম। আর ভর ও শক্তির সমতুল্যতা অনুসারে আলাের গতি অর্জন করতে হলে খরচ করতে হবে অসীম পরিমাণ শক্তি । এই কারণেই যেকোনাে সাধারণ বস্তু সব সময় আলাের চেয়ে অল্প গতিতে চলতে বাধ্য হয়। আলাে বা যেসব তরঙ্গদের অভ্যন্তরীণ কোনাে ভর নেই, তারাই কেবল আলাের সমান গতিতে চলতে পারে ।

১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয় আইনস্টাইনের বিশেষ আপক্ষিক তত্ত্ব । একে বিশেষ বলার কারণ হচ্ছে, সকল পর্যবেক্ষকের কাছে আলাের বেগ। কেন একই থাকে এবং আলাের কাছাকাছি গতিতে চললে কী ঘটবে এটি তা। ব্যাখ্যা করতে পারলেও নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্রের সাথে এর বনিবনা হচ্ছিল না। নিউটনের তত্ত্ব বলছে, কোনাে একটি মুহূর্তে বস্তুরা একে অপরের সাথে যে বলের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয় তা এদের সেই মুহূর্তের দূরত্বের ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হবে, আপনি একটি বস্তুকে সরিয়ে দিলে আরেকটির ওপর এর দ্বারা ক্রিয়াশীল বল সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে । 

যেমন ধরুন, হঠা করে সূর্য উধাও হয়ে গেল। ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বের মাধ্যমে আমরা জানি, আরও আট মিনিট পৃথিবী আলােকিত থাকবে (কারণ সূর্যের আলাে পৃথিবীতে আসতে এটুকু সময়ই লাগে)। কিন্তু নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্র অনুসারে সূর্য উধাও হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবী সূর্যের আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবে এবং কক্ষপথ থেকে ছিটকে দূরে চলে যাবে । অর্থা, সূর্য উধাও হয়ে যাবার মহাকর্ষীয় প্রভাব আমাদের কাছে চলে আসবে অসীম গতিতে । কিন্তু আলাের চেয়ে বেশি এই গতি বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বকে মহাকর্ষীয় তত্ত্বের সাথে জোড়া লাগাতে আইনস্টাইন ১৯০৮ থেকে ১৯১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে অনেকগুলাে প্রচেষ্টা চালান। ব্যর্থ হন তাঁর প্রতিটিতেই । শেষ পর্যন্ত ১৯১৫ সালে তিনি এর চেয়ে বড় বৈপ্লবিক তত্ত্ব নিয়ে আসেন। একেই এখন আমরা জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা সার্বিক (বা সাধারণ) আপেক্ষিক তত্ত্ব বলি ।

নােট-
মনে রাখতে হবে, আমরা কোনাে বস্তু দেখি যখন এটি থেকে নির্গত/
প্রতিফলিত আলাে আমাদের চোখে এসে পড়ে। 
১. কারণ আমরা কোনাে কিছু দেখি বস্তু থেকে আসা আলাে আমাদের চোখে।
প্রবেশ করলে। 
২. এটি ছিল বৃহস্পতির উপগ্রহ আয়াে। 
৩. এক ন্যানােমিটার এক মিটারের একশাে কোটি ভাগের কে ভাগের সমান। 
৪. পরীক্ষাটি পথমে মাইকেলসন একা চালিয়েছিলেন। পরে দুজনে মিলে করে
আরাে নিখুঁত ফল পান। 
৫. আমাদের সূর্যকে ধারণকারী মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেসহ ৫৪টির বেশি গ্যালাক্সি
নিয়ে তৈরি একটি গ্যালাক্সি গ্রুপের নাম লােকাল গ্রুপ। 
৬. অর্থা ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল, যেহেতু আলাে এক সেকেন্ডে এই পরিমাণ
দূরত্ব যায়। 
৭. এক আউন্স ২৮ গ্রামের একটু বেশি। 
৮. যেহেতু বেশি ভরের বস্তুর গতি বাড়াতে বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়।

No comments

Post a Comment

Don't Miss
© all rights reserved.
Made with by Science Tech BD