পরীক্ষার নামঃ- মানুষের শরীরের ফুসফুসে কত শক্তি আছে তা কিভাবে পরীক্ষা
করবে?
উপকরণঃ-একটা বড় মাপের
গামলা,পানি,মুখ ভোলা একটা বড় বোতল,ঠু দেয়ার জন্য একটা রাবারের নল বা পাইপ।
কার্যপ্রণালীঃ- বড় মাপের গামলায়
৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি ভর্তি কর । খোলা বোতলটি পানি ভর্তি
করে তার ছিপি শক্ত করে এঁটে দাও। এবার বোতলটি উল্টো দিকে করে গামলার
পানিতে ডুবিয়ে বোতলের ছিপিটি খুলে নাও। বোতলের ভেতরে পানির মাত্রা চিহ্নিত
কর এবং বোতলটা একদিকে কাত কর । এখন তোমার দরকার একটা ফাঁপা রাবারের
নল,যার একটা দিক থাকবে ওল্টানো বোতলের দিকে,অন্যদিকটা গামলার
বাইরে।
এবার তুমি
তোমার ফুসফুসের শক্তি পরীক্ষার জন্য তৈরি হও। গভীরভাবে শ্বাস টেনে,রাবারের নল দিয়ে
জোরে সেই বাতাস বোতলের ভেতরে প্রবেশ করাও। একই সঙ্গে লক্ষ্য কর,কি পরিমাণ পানি
তুমি সরাতে পারছ এবং সেই জায়গাটা বাতাস দিয়ে পূর্ণ করতে পারছ।পানির
মাত্রাও চিহ্নিত করতে ভুলবে। দুই চিহ্নের মধ্যে পার্থক্যটুকু
তোমার ফুসফুসের শক্তি নির্দেশ করছে। তবে মনে রাখবে, টিউব বা নলের ভেতর
দিয়ে শ্বাস ছাড়ার সময় তাতে যেন ছেদ না পড়ে বা শ্বাস টানা না হয়। কয়েকদিন অভ্যাসের পর যদি
দুই চিহ্নের মধ্যে পার্থক্য বৃদ্ধি পায়,তাহলে বুঝবে তোমার ফুসফুসের শক্তি বৃদ্ধি
পেয়েছে।
ফলাফলঃ- এভাবেই মানুষের
শরীরের ভেতরে যে ফুসফুস আছে এবং তার কতটুকু শক্তি আছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই পরীক্ষা মানুষের ফুসফুসের
শক্তি শুধু বৃদ্ধি করবে না,নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে তোমার শ্বাসপ্রশ্বাস ক্রিয়াতন্ত্রের উন্নতির পক্ষে
একটা ভালো ব্যায়ামও হবে।


No comments
Post a Comment