প্রতিষ্ঠাকালঃ- ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪
সদর দপ্তরঃ-জেনেভা,সুইজারল্যান্ড
সদস্যঃ-২১ টি দেশ ও ৭টি পর্যবেক্ষক
দাপ্তরিক ভাষাঃ-ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ
প্রেসিডেন্টঃ-আগ্নিয়েস্কা জালিউস্কা
মহাপরিচালকঃ-রোলফ ডিয়েটার হিউয়ের
ওয়েবসাইটঃ- এখানে...
আমাদের মহাবিশ্বের কাঠামোর মূলে কী আছে? কী দিয়ে গঠিত এই বিশ্বজগৎ? শুরুই বা কী করে হয়েছিল এই
সুনিপুণ কাঠামোর? বিশ্বের
সবচেয়ে শক্তিশালী পার্টিকেল অ্যাক্সিলারেটর (Particle Accelerators) বা কণা ত্বরকযন্ত্রের
মাধ্যমে সার্নের বিজ্ঞানীরা এসব প্রশ্নের জবাবই হাতড়ে ফিরছেন।
সংস্থাটির জন্ম ১৯৫৪ সালে জেনেভা শহরের কাছে
ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তের কাছে এর পরীক্ষাগার। ইউরোপের দেশগুলোর
অংশীদারমূলক কাজের আরেকটি নিদর্শন হল এটি। বর্তমানে এর ২১টি সদস্য দেশ ও ৭ টি
পর্যবেক্ষক দেশ রয়েছে।সার্ন (CERN)নামটি
ফ্রেন্স ভাষায় দেওয়া যার পূর্ণরূপ "Conseil Européen pour la
Recherche Nucléaire" যা ইংরেজিতে
European Organization
for Nuclear Research
বস্তুর মৌলিক উপাদান তথা একেবারে মৌলিক কণিকাগুলোকে
নিয়ে গবেষণা করার জন্য এখানে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং জটিল বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।
কণিকাগুলোকে আলোর কাছাকাছি বেগে সংঘর্ষে লিপ্ত করানো হয়।এটা থেকে বিজ্ঞানীরা
বুঝতে পারবেন কণিকাদের পারস্পরিক আচরণ ও প্রকৃতির মৌলিক সূত্রসমূহ।এখানেই ২০১২
সালের জুলাই মাসে আবিষ্কৃত হয় বহুল আলোচিত হিগস-সদৃশ কণিকা যা বিজ্ঞানী। পিটার হিগসের
অনুমানকে সত্য করায় তিনি একই বছর নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন। এই কণিকাটিকে আবার
ঈশ্বর কণা নামেও ডাকা হয়।
সার্নের কাজের অন্যতম অংশ হল লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC) ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল বিশ্বের সর্ববৃহৎ
পার্টিকেল অ্যাক্সিলারেটর। এখানেই আলোর নিকটবর্তী বেগে গতিশীল প্রোটন বা লেড
আয়নের সংঘর্ষ ঘটানো হয়।এই টানেলটি মাটির ১০০ মিটার গভীরে অবস্থিত।
এই প্রতিষ্ঠানের শুধু ল্যাবরেটরিতেই কাজ করেন ২৫
হাজারের অধিক স্টাফ। ১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ। বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স লি এর হাত ধরে
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) তথা
ইন্টারনেটের জন্মও হয় এই প্রতিষ্ঠানেই। এই সংস্থারই মহাপরিচালক ২০১৪ সালের ৭
এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনভোকেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
No comments
Post a Comment