ভিডিও দেখুন...
এ দেশের একটি নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিভাবে জড়িত হলেন যৌনপেশা বা কলগার্ল সার্ভিসে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া মেয়েটি এইসএসসি পাশের পর যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তখনই তার বাবা তাদের সংসারের একমাত্র অ’বলম্বন ছোট্ট ব্যবসাটি চরম লোকসানে পড়ে। সঙ্গে কপাল পুড়ে পুরো পরিবারের।এরপর থেকে বিভিন্ন প্র’ক্রিয়াতে মেয়েটিকেই হাল ধরতে হয় পুরো পরিবারের। আর এক পর্যায়ে প্র’তারক চ’ক্রের খ’প্পরে পড়ে সে হারায় তার সম্ভ্র’ব, তার স’র্বস্ব। এরপর শুরু হয় এক নতুন জীবন, চলতে থাকে অ’ন্ধকারের জগতে তার পথচলা।পরিবারের সংকট থাকার কারণে বিভিন্ন যায়গায় চাকরি খোঁজ করেন।কিন্তু জায়গাটা হচ্ছে হোটেল রেডিসন। এটা কোন অফিস মনে হচ্ছিল না। অনেকক্ষণ পরে একজন লোক আসলো তাকে অফিসারের মতোই মনে হচ্ছিল। দেখতে পেলাম আমাকে জিনি নিয়ে গেলেন তার হাতে অফিসারের মতো যেই লোকটা কিছু টাকা ধরিয়ে দিলেন। তখন আমার মনে একটু খটকা লাগলো। ওনাকে কেন টাকা ধরিয়ে দিচ্ছেন। তখন আমি একটু ভয়ও পেলাম। কখনোতো এরকম প’রিস্থিতিতে পড়িনি। আমাকে জেনে নিয়ে গেলেন উনি আমার নিকটে আসলো।
‘কাউকে সময় দেয়া মানে কি এটা আমি বুঝতে পারলাম। তখন আমি তাকে বললাম এটা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। আমি এটা পারবোনা, আমি কি করে সময় দিব? আমাকে যেই লোকটা ওখানে নিয়ে গেলেন তিনি আমাকে বললেন তোমার যদি চাকরিটা দরকার হয়, যদি চাকরিটা করতে চাও তাহলে মনে হয় কাজটা করা দরকার। আবার হু’মকি দিয়ে বলেছিলো এই কাজটা না করলে কোন কাগজ ফেরত দেয়া হবে না। এ কথা বলে ওই লোকটা চলে গেলে। তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। অফিসার এর মত দেখতে লোকটা আমার সামনে বসে আছেন।
কোন জিনিসে আমার মন বসছিলো না। কারো কাছে বলতেও পারছিনা, বলার কোন বিষয়ও না। আম্মা জানতে চেয়েছিলেন কি হয়েছে, কিন্তু এর কোন উত্তর আমি দিতে পারি নি। তখন নিজেকে সা’ন্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করি। যে যা হওয়ার তাতো হয়েই গেছে। অতঃপর এই টাকা দিয়েই বিশ্ব’বিদ্যালয় ভ’র্তি হই। পাশাপাশি বইপত্র যা যা প্রয়োজন সব কিছু ক্র’য় করি।
কিভাবে নিজেকে হাইড রাখতে হয়।এ কাজ করতে গেলে কখনো নিজেকে অ’পরাধী মনে হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় মনে হয়, আবার মাঝে মাঝে মনে হয় না।টাকা পয়সা আর প্যা’কেজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা পয়সার বিষয় হচ্ছে যারা আসে তাদের অ’বস্থা বুঝে। যার অর্থ’নৈতিক অবস্থা একটু ভালো সে হয়তো একটু বেশি দিচ্ছে।কিভাবে যোগাযোগ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রুপে পোস্ট দেই, ক’ন্টাক্টটা ইনবক্সে হয়।
এখানে কারা আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশির ভাগ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবী, বে-সরকারি চাকরিজীবী আবার অনেক স্টু’ডেন্টও আসে। স্টু’ডেন্টদের কাজ আমি একটু কম করি। কারন আমি নিজেও একজন স্টুডেন্ট এজন্য তাদের কাজ আমি করি না। বেশির ভাগ ৩৫ বছরের উপরে লোকজন বেশি আসে।
এপর্যন্ত আপনি কতজনের সাথে মিট করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩৫ থেকে ৪০ জনের মতো হবে। ঢাকার ভি’তরেই কাজ গুলো করা হয়। ছয় থেকে আট হাজার টাকা ক’ন্টাক্ট হয়। অনেকে থাকার পরে বলে ভুত থেকে টাকাটা তুলে দিচ্ছি। দেখা যায় তার আর খোঁজ খবর নেই। আবার অনেকে টাকা কম দিয়ে যায়। বলছে পরবর্তীতে দিব। পরবর্তীতে অনেকে দিয়ে দেয়, আবার অনেকে দেয় না।
আবার অনেকে বাজে ব্যা’বহার করে। মনে হয় আমরা কোন মানুষ না। আমাদের সাথে মানুষের আচরণ করে না। এটা কোন জীবন হতে পারে কি না জানিনা। এটা আসলে কোন লাইফ না। আমি চাই এখান থেকে প্রতিনিয়ত বের হতে। আমি চাই আরও পাঁচটা মানুষ যেভাবে থাকে আমিও সেভাবে থাকি।এই শিক্ষার্থী বলেন, আমি এ জীবন চাই না।

No comments
Post a Comment