Responsive Ad Slot

সর্বশেষ

latest

কী এই গামা রে বার্স্ট??

Saturday, 18 April 2020

/ by Admin



গামা রে বার্স্ট প্রথম নজরে আসে গেল শতকের ষাটের দশকে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। উপগ্রহগুলোর কাজ ছিল গামা রশ্মির বিকিরণকে শনাক্ত করা। উপগ্রহগুলো এতটাই শক্তিশালী ছিল যে চাঁদের অপর পৃষ্ঠে যদি কোনো বিস্ফোরণ ঘটে তাও ধরতে পারবে। আর সত্যি সত্যিই মহাকাশ থেকে আসা গামা রশ্মির বিকিরণ ধরা পড়ল।
২০০৮ সালের সালের মার্চ মাসে একটি গামা রে বার্স্ট ধরা পড়ে যেটির উৎপত্তি ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে ছিল, অর্থাৎ দৃশ্যমান মহাবিশ্বের অর্ধেক দূরত্ব। এত বিশাল দূর ভেবেই অনুমান করা সম্ভব বিস্ফোরণটি কতটা শক্তিশালী ছিল। সূর্য তার ১০০০ কোটি বছরের জীবনকালে যে পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে একটি গামা রে বার্স্ট মাত্র এক সেকেন্ডে তার থেকেও বেশি শক্তি তৈরি করে।

গামা রে বার্স্ট দুইভাবে হতে পারে। যখন দুটি নিউট্রন তারা একে অপরের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে কোনো এক মুহূর্তে জুড়ে গিয়ে তৈরি করে একটি ব্ল্যাক হোল। এর ফলে যে মহাবিস্ফোরণ সৃষ্টি হয় তাকে গামা রে বার্স্ট বলে। আবার সূর্যের চেয়ে ৮ গুণ ও তার বেশি ভারি তারা মহাবিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্ল্যাক হোল তৈরি করলে গামা রে বার্স্ট তৈরি করতে পারে।
গড় হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতিদিন একটা করে জিআরবি হয়েই থাকে। কিন্তু এদের বেশিরভাগটাই ক্ষতিকারক নয়। কারণ এগুলো অনেক দূরের। তবে ১০০০ আলোকবর্ষের মধ্যে যদি কোনো জিআরবি হয়ে থাকে এবং এর গতিপথের সামনে যদি পৃথিবী থাকে তাহলে পৃথিবীর সামনের অংশটা পুরে যাবে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান ৪৪০ কোটি বছর আগে একবার হয়ে থাকতে পারে। সেই সময় হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। যদিও পৃথিবীর পরিবেশ সে সময় গরম থাকার কথা। মনে করা হয়, GRB আঘাতের কারণের এটা হয়েছে। এর জন্য প্রায় ৮৫% সামুদ্রিক প্রাণী ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।.

৮০০০ আলোকবর্ষ দূরে WR104 নামে একটি মৃত্যুপথগামী লাল তারা রয়েছে। যার ঘূর্ণন অক্ষ পৃথিবীর দিকেই তাক করে আছে। যদি এই মুহূর্তে ওই তারা থেকে GRB ধেয়ে আসে পৃথিবীতে আবার প্রাণের ধ্বংসলীলা শুরু হবে। তবে এটি সবকিছুর শেষ তা বলা ভুল হবে। কারণ একটা বৃহৎ তারা ধ্বংসের অবশেষ থেকেই যেভাবে আমাদের সৌরজগতের সৃষ্টি হয়েছে সেভাবেই শুরু হবে নতুন তারার জগৎ।

No comments

Post a Comment

Don't Miss
© all rights reserved.
Made with by Science Tech BD