পরীক্ষার নামঃ- নদীর পানি যাতে উপচে পড়ে বন্যার সৃষ্টি না করে সেজন্য বাঁধ দেয়া হয় কিন্তু এই বাঁধের নিচের দিকটা ওপরের অংশের তুলনায় অনেক বেশি চওড়া করে দেয়া হয় কেন?
উপকরণঃ- একটা সরু লম্বা টিনের পাত্র, হাতুড়ি, পেরেক, পানি।
কার্যপ্রণালীঃ- লম্বা টিনের পাত্রের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত চারটি সমান অংশে ভাগ করে, হাতুড়ি ও পেরেকের সাহায্যে তিনটি ছিদ্র করাে। পাত্রটি ট্রে কিংবা এমন জায়গায় রাখ, যাতে পানি পড়ে কোনাে কিছু নষ্ট না হয়। এবার টিনের পাত্রটি পানিতে ভর্তি কর। কি হচ্ছে? দেখা যাচ্ছে তিনটি ছিদ্র দিয়ে পানি তিনটি ধারায় পড়ছে। কিন্তু এও দেখবে যে, তিনটি পানির ধারা সমান দূরত্বে পড়ছে না। নিচের ছিদ্র দিয়ে নির্গত পানি সব থেকে দূরে পড়ছে এবং ওপরের ছিদ্র পথে নির্গত পানি পড়ছে টিনের সব থেকে কাছে! এর কারণ কি? কারণটা হচ্ছে, ওপরের ছিদ্র মুখের ওপরে যে পানি আছে, সেই পানিই কেবল ওপরের ছিদ্রমুখ দিয়ে নির্গত হচ্ছে। যেহেতু নিচের অংশের পানি ওই পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না, সেহেতু ওই ছিদ্রমুখে নিচের পানির অংশে কোনাে চাপ পড়ছে না। তেমনি, নিচের ছিদ্রমুখের ওপর পড়ছে ওপরে সমগ্র অংশের পানির চাপ এবং স্বভাবতই ওপরের ছিদ্রমুখ থেকে নিচের ছিদ্রমুখের ওপর চাপ অনেক বেশি হবে। বেশি চাপের দরুণ নিচের ছিদ্রমুখ থেকে নির্গত পানির ধারা দূরে গিয়ে পড়ছে। এ কারণে নদীতে নির্মিত বাঁধের তলদেশ অনেক বেশি চওড়া হয়, কারণ তলদেশের ওপর পানির চাপ অনেক বেশি পড়ে।
ফলাফলঃ- উপরের পরীক্ষার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলাে, কি কারণে নদীতে যে বাঁধ দেয়া হয় তার উপরের দিকের চেয়ে নিচের অংশটা চওড়া বেশি থাকে।
No comments
Post a Comment