পরীক্ষার নামঃ- বাষ্পীভবন যে হয়—তা কীভাবে পরীক্ষা করবে?
উপকরণ- একই রকমের তিনটি প্লেট, চামচ ও পানি।
কার্যপ্রণালী- প্লেট তিনটি পাশাপাশি রেখে, প্রথম প্লেটে এক চামচ, দ্বিতীয় প্লেটে দুই চামচ এবং তৃতীয় প্লেটে তিন চামচ পানি দিতে হবে। এবার প্লেটগুলাে লক্ষ্য করতে হবে।কিছু সময় পর দেখা যাবে, এক চামচ পানি যে প্লেটে দেয়া হয়েছিল, সেটা আগে শুকিয়ে গেছে, তারপর শুকিয়েছে যে প্লেটে দুই চামচ পানি ছিল এবং সবশেষে শুকিয়েছে তৃতীয় প্লেটটি, যেটাতে ছিল তিন চামচ পানি। এক্ষেত্রে আবহমণ্ডলের তাপমাত্রায় পানি আপনা থেকেই ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হয়েছে—এই প্রক্রিয়াকেই বলে বাষ্পীভবন। এটা হয় শুধু তরল পদার্থের উপরিভাগ থেকেই। অন্য একটি পরীক্ষার দ্বারাও তা প্রমাণ করা যায়। এ জন্য প্রয়ােজন একটি প্লেট একটি গ্লাস এবং মুখখােলা সরু লম্বা একটি বােতল। প্রতিটি পাত্রেই দুই চামচ করে পানি দিয়ে পাশাপাশি রাখতে হবে । প্রত্যেকটিতে সমান পরিমাণ পানি থাকলেও প্রত্যেকটি পাত্র কি একই সঙ্গে শূন্য হবে?
লক্ষ্য করতে হবে, কোন্ পাত্রটি আগে খালি হচ্ছে। প্রথমে খালি হচ্ছে প্লেটের পানি, তারপর গ্লাসের এবং সবশেষে বােতলের। এ থেকে প্রমাণিত হচ্ছে তরল পদার্থের উপরিভাগের ক্ষেত্রের আয়তন যত বেশি হবে বাষ্পীভবন তত বেশি হবে।
ফলাফল- পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত হলাে, এই যে প্লেটের পানিগুলাে উড়ে বাতাসের জলীয় বাষ্পের সাথে মিশে যাচ্ছে এটাই হলাে বাষ্পীভবন ।
No comments
Post a Comment