যে সমস্ত নক্ষত্রের ভর কম,হাইড্রোজেন জ্বালানি কমে গেলে সংকোচনের কারণে মূল
অংশের ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বাইরের অংশে প্রসারণ ঘটে। তবে মূল অংশের
তাপমাত্রা আহামরি বৃদ্ধি পায় না। বাইরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তারকার পৃষ্ঠ থেকে
নির্গত বিকিরণ লালচে দেখায় যাকে রক্তিম দৈত্য বলে। আস্তে আস্তে এর বাইরের আবরণ
ভেঙ্গে যায় যাকে শ্বেত বামন বলে। শ্বেত বামন
তারকার উজ্জ্বলতা কমতে কমতে একসময় কালো বামনে পরিণত হয় এবং মৃত্যু ঘটে।
কিন্তু যে সমস্ত নক্ষত্রের ভর অনেক বেশি,হাইড্রোজেন জ্বালানি কমে গেলে সংকোচন অনেক বেশি ঘটে
এবং তাপমাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা প্রায় ১০ কোটি ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছায়
এবং হিলিয়াম নিউক্লিয়াসে ফিউশন বিক্রিয়া শুরু হয়। তখন তিনটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস
ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং প্রচুর শক্তি নির্গত হয়।
তখন কোরের ভিতরের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং বাইরের আবরণে বিস্তার লাভ করে এবং প্রসারণ
লাভ করে। তারকাও আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়। বাইরের অংশের তাপমাত্রাও একসময় কমে যায়
এবং তারকা লালচে হয়ে যায়। এ অবস্থায় তারকাকে বলা হয় রক্তিম
দৈত্য বা অতি রক্তিম
দৈত্য তারকা। সূর্য
যখন হাইড্রোজেন জ্বালানি শেষ করে এই ধাপে পৌঁছবে তখন সূর্যের আকার এতটা বেড়ে যাবে
যে,বুধ,শুক্র,পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্রহও গ্রাস করে ফেলবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, এই অবস্থা সৃষ্টি হতে এখনও ৬০০ কোটি বছর
দেরি আছে।
No comments
Post a Comment