Responsive Ad Slot

সর্বশেষ

latest

বিজ্ঞানীদের কিছু হাস্যকর কাহিনী

বিজ্ঞানীদের মজার কথা

Wednesday 24 July 2019

/ by Admin

আমরা পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞান ও গণিত এর কঠিন তথ্য ও দাঁতভাঙ্গা সূত্র যখন পড়ি তখন মনে হয় যে, মানুষগুলো এই নিরস তথ্য আবিষ্কার করেছে তারা আসলে ব্যক্তি জীবনে কেমন ছিল? তারাও কি তাদের তত্ত্বের মত নিরস ও নির্জিব ছিল যদি আমরা তাই মনে করি তাহলে আমাদের ধারণা ভুল তাদের জীবনী পড়লে দেখা যাবে তাদের জীবন ছিল বেশ হাস্যরসাত্মক এমন কিছু মজার কাহিনী এখন আপনাদেরকে শোনাবো  
বিজ্ঞানীদের কথা আসলেই আইনস্টাইনের কথা সবার প্রথমে চলে আসে তার জীবনের মজার কিছু কাহিনী না বললে লেখা টি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে

একদিন আইনস্টাইন এক পার্টিতে গিয়েছেন তো তাকে চিনতে না পেরে এক তরুণী বললেনঃ আপনি কি করেন? তিনি বললেন, আমি পদার্থবিজ্ঞানের একজন ছাত্র তখন তরুণী অবাক হয়ে বলল, কি বলেন আপনি? আপনার এত বয়স হয়ে গেছে তবুও ছাত্র? আমি তো গত বছর পড়াশোনা শেষ করলাম আইনস্টাইন কিছু না বলে চলে গেলেন

এদিকে আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কার করে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও খুব অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানী তথ্য বুঝতে পেরেছিল এটা তো রীতিমতো ফ্যাশন হয়ে গিয়েছিল যেমন একটি কোম্পানি তাদের নাম দিয়ে দিল রিলেটিভিটি চুরুট তো আইনস্টাইনকে দেখলেই যে কেউ আপেক্ষিকতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত আইনস্টাইন তো মহাবিরক্ত তিনি যদি ব্যাখ্যা করতেন তবে এটা তাদের মাথার উপর দিয়ে যাবে তা তিনি ভালো করেই জানতেন তাই তিনি একটি কথা প্রায় বলতেন, ধরুন আপনি আপনার হাতটা জ্বলন্ত চুলার উপর এক মিনিট রাখলেন। মনে হবে কয়েক ঘণ্টা আবার কোন সুন্দরী রমণীর পাশে এক ঘণ্টা থাকুন মনে হবে যেন এক মিনিট ছিলেন এটাই হলো আপেক্ষিকতা
আরেকদিন যাচ্ছেন একটি সেমিনারে বক্তব্য দিতে তখন তার ড্রাইভার তাকে বলল, স্যার আপনাকে একটা অনুরোধ করবোআইনস্টাইন বললেন,হ্যা,কর। সে বলল, স্যার,আপনি সব সেমিনারে তো একই কথা বলেন, আমার সব কথা মুখস্থ হয়ে গেছে তো আজ যেখানে যাচ্ছেন সেখানে তো আপনাকে কেউ চিনে না তো এটাই সুযোগ, আমি হব আইনস্টাইন আর আপনি হবেন আমার ড্রাইভার কেউ বুঝতে পারবে না আইনস্টাইন বলল, ভালো বলেছ তুমি মজা হবে।। যেমন কথা তেমন কাজ আইনস্টাইন বসলেন পিছনের সারিতে আর তার ড্রাইভার যথারীতি মঞ্চে সাবলীলভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে দর্শকদের করতালির মাধ্যমে তার বক্তব্য শেষ হলো বিপত্তি ঘটলো বক্তব্য শেষ হবার পরে একজন বিজ্ঞানী এসে বলল, স্যার আপনার বক্তব্যের এই অংশ আমি বুঝতে পারি নাই, আমাকে একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? আইনস্টাইনের ড্রাইভার তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে বলল, ও এটাএটা তো খুবই সহজ, আমার ড্রাইভার তো এটা পারে যান উনার কাছ থেকে বুঝে নিন বুঝা গেল বুদ্ধি থাকলে সহজে কেউ আটকাতে পারে না

এবার বলব তমাস আলভা এডিসন এর গল্প তিনি বৈদ্যুতিক বাল্ব ও গ্রামোফোন আবিষ্কার করার জন্য বিখ্যাত উনি ছোটবেলা থেকেই কৌতুহল প্রবণ ছিলেন তখন তার বয়স মাত্র ছয় একদিন বাবা মা অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখতে পেলেন এডিসন হাসের খাচার মধ্যে ঢুকে বসে আছে কি ব্যাপার? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাস কিভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায় তাই দেখছিলাম আরেকদিন আগুন লাগলে কেমন লাগে সেটা দেখার জন্য নিজের খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন

নিলস বোর। পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানের অবদান যার রয়েছে অনেক অবদান। নিলস বোর তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষারত ।পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নোত্তরে  প্রশ্নটি ছিল- একটি ব্যারোমিটার এর সাহায্যে কিভাবে একটি বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় করা যায়? বর্ণনা কর তিনি উত্তরে লিখলেন, আমাদেরকে ব্যারোমিটার এর মাথা একটি দড়ি বাধতে হবে এরপর এটিকে ভবনের ছাদ থেকে নিচে নামিয়ে মাটি পর্যন্ত নিতে হবে তাহলে ব্যারোমিটার এর দৈর্ঘ্য আর দড়ির দৈর্ঘ্য যোগ করলে ভবনের উচ্চতা পাওয়া যাবে এরকম সোজাসাপটা উত্তর পরীক্ষককে এমন রাগিয়ে দিল যে, তিনি তৎক্ষণাৎ ছাত্রটিকে ফেল করিয়ে দিলেন শিক্ষক তাকে আবার লেখার সুযোগ দিলেন, এবার তিনি বললেন আমি ভবন এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন কারীর কাছে যাব এবং তাকে বলবো যদি আপনি নতুন একটি সুন্দর ব্যারোমিটার পেতে চান তাহলে আমি আপনাকে ব্যারোমিটার দিব কিন্তু সে জন্য আপনাকে বলতে হবে এই বহুতল ভবনের উচ্চতা কত? একথা শুনে শিক্ষক মহা বিরক্ত হয়ে বললেন, তুমি কি সত্যি সঠিক উত্তর জানো না তখন তিনি বললেন, দেখুন স্যার আমি সঠিক উত্তর জানি কিন্তু শিক্ষকদের পড়ানোর ক্ষেত্রে হাউ ডু থিঙ্ক ব্যাপারটি এত বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে যার কারণে আমি নিজেই বিরক্ত এই নীলস বোর ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম ড্যানিশ বিজ্ঞানী

অনেক দিন আগের ঘটনা এক বুড়ি মহিলা তার জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির এক বুড়োকে দেখল, বুদবুদ বানাচ্ছে একদিন- দুইদিন- তিনদিন এভাবে বেশ কয়েকদিন লক্ষ্য করার পর তার মনে হলো হয়তো সে পাগল মহিলাটি পুলিশে ফোন করল পুলিশ এসে খোজ নিয়ে দেখল ইনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিউটনতিনি তখন বুদবুদের গায়ে জে রংধনুর রঙ সৃষ্টি হয় তার কারণ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন
বিজ্ঞানী নিউটন একবার তার বন্ধুকে দাওয়াত দিলেন কিন্তু নিজেই ভুলে গেলেন তিনি নিজের খাবার ঢেকে রেখে বাইরে চলে গেলেন এ সময় তার বন্ধু এসে তাকে ঘরে না পেয়ে তার খাবার দেখে ভাবলেন নিউটন খাবারটা হয়তো তার জন্য রেখে বাইরে চলে গেছেন সে খেয়ে শুয়ে পড়ল শোবার আগে সে বাসনপত্র আগের মত ঢেকে রেখে দিল।  নিউটন বাসায় এসে তার বন্ধুকে দেখে ভাবলেন তিনি বন্ধুর বাসায় চলে এসেছেন কিন্তু না ওইতো খাবার ঢাকা আছে। খাবার খেতে গিয়ে দেখলেন খাবার নাই তিনি ভাবলেন বোধহয় তিনি খাবার খেয়ে বাইরে গিয়েছিলেন!!

আজ এই পর্যন্ত। সামনে আরো মজার গল্প নিয়ে হাজির হবো।


( Hide )

Don't Miss
© all rights reserved.
Made with by Science Tech BD